আমার আপনার দুনিয়ার তাবত লোকের মধ্যে যে চরিত্র – লক্ষন টি অনিবার্য ভাবে দেখা যায় তা হলো অপরের কাছে গুরুত্ব পাওয়ার বিসেষ স্বীকৃতি পাওয়ার লোভ। লোকে ভালো মন্দ যে – কাজটাই করে তার পিছনে ওই লোভ টা দারুন ভাবে কাজ করে থাকে। তাই লোকজনের আপন করে নেয়ার কলাকৌশলের এক প্রধান অংগ হলো অপরের হাবে ভাবে  বোঝান যে তিনি আপনার কাছে অতিব গুরুত্ব পূর্ণ। মনে রাখবেন আপনার আচরনে তিনি যত বেশি গুরুত্ব পাবেন  তত বেশি করে আপনার কথায় সাড়া দেবেন।

প্রত্যেকেই চায় তাকে দশ জনের এক জন বলে গন্য করা হোক। কাউকে উপেক্ষা করা তার সঙ্গে মুরুব্বিয়ানার সুরে কথা বলা মানেও ঠিক তাই।

মনে রাখবেন আপনি আপনার নিজের চোখ যতই গুরুত্বপুর্ন অন্যেরাও প্রত্যেকেই তার নিজের নিজের কাছে ততটাই গুরুত্ব পূর্ণ। এই ছোট কথাটাই হলো পরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত এটা খুব ভালো করে বোঝা দরকার।
অন্যরা যে আপনার কাছে গুরুত্বপুর্ন সেটা তাদের বোঝানোর কিছু কায়দা আছে।



১. ওরা কি বলতে চায় শুনুনঃ কিভাবে ভালো শ্রোতা হওয়া যায়। কারো কথা শুনতে না চাওয়ার অর্থ তাকে সজাসুজি জানিয়ে দেওয়া যে সে এলেবেলে লোক, ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। আপনার কাছে যে ওর গুরুত্ব আছে সেটা তাকে বুঝিয়ে দেয়ার সেরা উপায় ই হলো তার কথা মন দিয়ে শোনা।


২.বাহাবা দিনঃ পরকে তারিফ করুন ওদের প্রাপ্য হলে।

৩. যত বার পারেন ওদের নাম মুখে আনুন এবং ওদের দেখুন বার বার আপনার মুখে নিজের নাম শুনলে এবং ওদের ছবি নিয়ে আপনার এত আগ্রহ দেখলে আপনাকে অদের ভালো  না লেগে যায় না।

৪. ওদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে একটু সময় নেবেন।  এতে ওদের মনে হবে আপনি ওদের কথা তলিয়ে ভেবে দেখছেন এবং ওরা যা বলছে তা সত্যই ভেবে দেখার মত।

৫. আপনি আপনার ও আপনাকে এই সব শব্দই বেশি ব্যবহার করুন।

আমি আমার আমাকে এমন শব্দ পরিহার করুন।

৬. কেও যদি বাইরে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাকে খবর পাঠান। তিনি জানুক যে তার উপস্থিতি থাকা আপনি জানেন এবং খানিক ক্ষন পরেই তার সঙ্গে দেখা হবে। এতে তিনি বুঝবেন না। যে কোন এক জনের চেয়ে গোটা দলটা বড়ো। এবং সেখানে তার গুরুত্ব কত খানি।

ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *