খুব সহজে কারো কাছে নিজেকে গ্রহন যোগ্য করে নেয়ার এবং খুব সহজেই মাত্র কিছু সময় কথা বলার মাধ্যমে তার আপন মানুষে পরিনত  হওয়ার এর থেকে ভাল কোন টিপস আর হতে পারে না । কারন এই টিপস গুলো আমি আমার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে থাকি। এবং চমৎকার ফল পাই । আপনিও অনুশীলন করুন আশা করি দারুন ফল পাবেন। তো আর দেরি কেনো চলুন শুরু করা যাক চমৎকার সেই টিপস গুলো। 

প্রথমত যখনই কারও সংগে কথা বলবেন আপনি সেই বিষয় টি বেছে নিবেন যে বিষয়ের উপর সারা পৃথীবির সকল মানুষের ইন্টারেস্ট আছে। বলতে পারেন সে্টি কি বিষয়?  কি নিয়ে সারা দুনিয়ার মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি? 



সেটি হলো যার সাথে কথা বলবেন তার নিজের সম্পর্কে। আপনি যখন কারো সংগে কথা বলবেন তখন যদি আপনি আপনার সম্পর্কে নিজেই নিজের ঢোল পেটাতে থাকেন খুব অল্প সময়ের মধেই যার সাথে কথা বলছেন সে বিরক্ত বোধ করবে এবং সে স্থান ত্যাগ করতে চাইবেন। এমন কি তিনি বিরক্তি ভরে কিছু সময় আপনার কথা শুনে চুপচাপ চলে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের কথাকে সংবরন করে তার নিজের কথা তার নিজের সম্পর্কে প্রশ্ন করে তার সম্পর্কে কিছু কথা শোনেন তাকে তার নিজের সম্পর্কে বলার সুযোগ দেন এবং আপনি তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তাহলে তার সম্পর্কে আপনার জানার আগ্রহ দেখে আপনার সম্পর্কে একটি ভালো ধারনা জন্মাবে। আপনি যখন কারো সংগে তারই সম্পর্কে আলোচনা করেন তাহলে আপনি সঠিক পথে এগুচ্ছেন। আপনি তখন মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অনুকুলেই কাজ করে যাচ্ছেন। আপনি যখন শুধুই নিজের কথা বলেন তখন উল্ট পথে হাটেন।








সুতরাং আজ থেকে আপনার অভিধান থেকে এই তিনটি শব্দ বাদ দিয়ে দিবেন যখন অন্যের সাথে কথা বলবেন ।সেটি হলো।

” আমি, আমার  এবং আমাকে”

মানূষ কে আপন করে নেয়ার কলাকৌশলের ক্ষেত্রে এই তিনটি শব্দের স্থানে বসাবেন ;

” আপনি, আপনার এবং আপনাকে”

যেমন আপনি যদি এটা করেন তাহলে সত্যই আপনার ভাল হবে। আপনার বাড়ির সকলে খুশি হবেন। এতে আপনাকে সকলেই ভালো বলবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। 

মনে রাখবেন  যদি আপনি একবার ”আমি আমার ও আমাকে ”এই মূখ্রোরচক শব্দ গুলো বলতে নিজেকে সামলে নিতে পারেন এবং আপনি আপনার ও আপনাকে বলতে শুরু করেন তাহলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি অন্যের নিকট প্রীতিপ্রদ হয়ে উঠবেন।তাদের উওর প্রভাব বিস্তার করার তাদের আপন করে নেয়ার ক্ষমতা আপনার বহুগুনে বেড়ে যাবে।

আমি জানি এটা কতটা কঠিন কাজ ।কিন্তু আপনি যদি এই অভ্যাস টা একবার গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ক্ষমতা বহু গুনে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। খুব সহজেই অপরের নিকট আপন হয়ে যাওয়ার।

দেখুন নিজের প্রতি মানুষের আগ্রহকে বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগান যায়। আপনি যখন অন্যের ব্যাপারে একবার মনযোগ সহকারে শুনতে শুরু করবেন তখন দেখবেন মানূষ তার নিজের সম্পর্কে বলতে কতটাই আগ্রহী। সে অকপটে তার নিজের সম্পর্কে শুধুই বলে যাচ্ছে। আপনার মনে হবে কত বছরের জমানো কথা গুলো আজ আপনাকে শোনাতে বসেছে । আপনি শুধু মাত্র একজন ভালো শ্রোতা হয়ে থাখুন। তার কথার মাঝে মাঝে তাকে প্রতিউত্তর দিন। দেখবেন আপনি নিজেই আনুভব করতে পারবেন মানূষ মাত্র নিজের ব্যপারে কতটাই কৌতুহলী। আসলে মানূষ  এখন আর অন্যের ব্যাপারে শোনার জন্য কোন কৌতুহল দেখায় না। এর এই কথা গুলো বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে তার মনে ধরে যাবে। পরবর্তীদিন ঠিকই আবার গল্প করার জন্য আপনাকে খুজবে।

মানূষকে দিয়ে তার সম্পর্কে বলিয়ে নেয়ার অনেক  পদ্ধতি আছে সে আপনাকেই কথা বলতে বলতে খুজে বের করতে হবে। অর্থাৎ প্রসংগ টা ঘুরিয়ে বার বার তার নিজের দিকে নিয়ে যাবেন । যাতে সে বুঝতে পারে সত্যিই আপনি তার নিজের সম্পর্কে জানতে ভিষন রকম আগ্রহী।
যেমনঃ 
             হতে পারে আপনার বাড়ির সবাই কেমন আছেন?
 আর্মিতে জব নিয়ে আপনার ছেলের কেমন লাগছে?
আপনার জামাই তো বদলির চাকরি তো আপনার মেয়ে এখন কোথায় থাকছেন।
এ চাকরিতে আপনার কতবছর যেনো হলো?
ওই টাই বুঝি আপনার আদি নিবাস?
ইত্যাদি ইত্যাদি….

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানূষই অন্যকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারে না কারন তারা সব সময় নিজেরাই নিজেদের কথা বলতে আগ্রহি থাকে । অন্যদের কথা বলার সময়ই দেন না । 

সব সময় একটা বিষয় মনে রাখবেন যে আপনি কোন বিষয়টা বলতে চাচ্ছেন বা যে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনার কত খানি আগ্রহ বা কিউরিসিটি আছে সেটি মূখ্য বিষয় নয়। জানতে হবে আপনার শ্রোতা যিনি তার কত খানি আগ্রহ আছে বা এই বিষয় শুনলে অসন্তুষ্ট হতে পারে কিনা । 

সুতরাং কারো সঙ্গে যখন কথা বলবেন যার সংগে কথা বলবেন  তার সম্পর্কে কথা বলিয়ে নিবেন।


এভাবেই আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে উঠতে পারেন সকলের খুবই সদালাপি ও জনপ্রিয় মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *